মেসি-রোনালদোর ‘সম্মুখ যুদ্ধের’ এক যুগ

এপ্রিল ২৩, ২০০৮। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে মুখোমুখি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সেলোনা। মেসির বয়স তখন ২০ বছর, রোনালদোর ২৩।

১৬০

করোনাভাইরাসের ছোবলে আরও অনেক দিন-তারিখের মত এবারের ২৩ এপ্রিলও চলে গেল অনেকটা নিরবে-নিভৃতে। ফুটবলপ্রেমীরাও ঝড় তুললেন না চায়ের কাপে। এক যুগ আগে এই দিনেই যে শুরু হয়েছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ‘সম্মুখ যুদ্ধ’।

এপ্রিল ২৩, ২০০৮। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে মুখোমুখি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সেলোনা। মেসির বয়স তখন ২০ বছর, রোনালদোর ২৩। ওই ম্যাচে দুজনে ছিলেন গোলহীন, ম্যাচও শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। কিন্তু ফুটবল ইতিহাসের অবিস্মরণীয় এক দ্বৈরথের শুরু ওই ম্যাচ দিয়েই।

- Advertisement -

প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে পেনাল্টি মিস করেছিলেন রোনালদো। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরতি লেগে পল স্কোলসের একমাত্র গোলে জিতে ঠিকই ফাইনালে ওঠে ইউনাইটেড। মস্কোর ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে জিতে নেয় ইউরোপ সেরার মুকুট। ২০০৯ সালে ৮ কোটি পাউন্ডের রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে রোনালদো নোঙর ফেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। নতুন মাত্রা পায় সময়ের দুই সেরার লড়াই।
বর্তমানে মেসির বয়স ৩২, রোনালদোর ৩৫। এ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন ও পর্তুগিজ তারকা ফুটবলের আঙিনায় সম্মুখ সমরে নেমেছেন ৩৬ বার। আনন্দ-বিষাদ সঙ্গী হয়েছে দুজনেরই।

যুগপূর্তিতে পেছন ফিরে দেখা যেতে পারে দুজনের স্মরণীয় ছয় লড়াই।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, ২০০৯ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ০-২ বার্সেলোনা)

ফাইনালের মঞ্চ ছিল রোম, সেই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা এমন ছিল যেন কলোসিয়ামে লড়াইয়ে নামবেন প্রবল প্রতাপশালী দুই গ্ল্যাডিয়েটর!

রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে পাদপ্রদীপের আলোটুকু নিজের করে নিয়েছিলেন মেসি। আড়াল হয়ে ছিলেন রোনালদো। সামুয়েল এতোর গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর ৭০তম মিনিটে মেসির লক্ষ্যভেদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইউনাইটেড। রোনালদো পারেননি দলের ত্রাণকর্তা হতে। ইউরোপ সেরার লড়াই জিতে ট্রেবল জয়ের দারুণ কীর্তি গড়েছিলেন মেসিরা।

লা লিগা, ২০১০ (বার্সেলোনা ৫-০ রিয়াল মাদ্রিদ)

যথারীতি এ ম্যাচকেও দেখা হচ্ছিল দুজনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে। কিন্তু লড়াই ছিল একতরফা। মেসিদের সামনে স্রেফ উড়ে গিয়েছিলেন রোনালদোরা।

রোনালদো নিশ্চয়ই মনে রাখতে চাইবেন না ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর, লা লিগার সেই ম্যাচ। কী দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়েই না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আঙিনা থেকে ফিরতে হয়েছিল রিয়ালকে!

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ও টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাম্প নউয়ে গিয়েছিল রিয়াল। জোসে মরিনিয়োর দল ফিরেছিল স্রেফ বিধ্বস্ত হয়ে।

মর্যাদার লড়াইয়ে বার্সেলোনা লিখেছিল ৫-০ গোলে জয়ের দুর্দান্ত এক মহাকাব্য। ওই ম্যাচে গোল পাননি মেসি, তবে অবদান রেখেছিলেন দুটিতে। তিনি নিজে একবার জালে বল পাঠালেও বাতিল হয়ে যায় সেটি।

রিয়াল সমর্থকদের উদ্দেশে হাতের পাঁচ আঙুল উঁচিয়ে উদযাপন করে তাদের বড় হারের সেই ক্ষত যেন আরও দগদগে করে তুলেছিলেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ