ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: কৃষিমন্ত্রী

ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম করবে, দুর্নীতি করবে, যারা গরীবের ত্রাণ অপব্যবহার করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং দরিদ্র মানুষদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। এই ত্রাণ বিতরণে যারা অনিয়ম করবে, দুর্নীতি করবে, যারা গরীবের ত্রাণ অপব্যবহার করবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

শনিবার (০২ মে) টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কারণ পাহাড়ি ঢলে ধান অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। খুশির কথা হাওর অঞ্চলের ৮০ ভাগ ধান ইতোমধ্যেই কাটা হয়ে গেছে। কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার ধান কাটা কিছুটা পিছিয়ে আছে।

এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের কাছ থেকে এবার আট লাখ টন ধান কেনা হবে। এছাড়াও ১১/১২ লাখ টন চাল কেনা হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি কেনার চিন্তা রয়েছে। যাতে কৃষক ধানের দাম পায়। লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব এখানে কাজ করবে না। স্বচ্ছভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ২২ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে এবং আরও যদি মারা যায় তাদের পরিবারকেও কমপক্ষে এক লাখ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সাংসদ আতাউর রহমান খান, সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, সাংসদ তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Comments ()
Add Comment